ভুমিকা :
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাদদেশে বাংলাদেশ-ভারত সীমানা ঘেষে পঞ্চগড় হতে উত্তরে বাংলাবান্ধা এশিয়ান হাইওয়ে রোডের দশ মাইল নামক বাজারের পাশে ১৯৮৭ ইং সালে মাত্র ০৫ জন শিক্ষক ও ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে টিনসেট ঘরে বাঁশের তৈরী বেঞ্চের উপর বসে দশ মাইল নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে।
প্রতিষ্ঠান পরিচিতি :
বিদ্যালয়ের নামঃ দশ মাইল দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, গ্রাম- শিতলী হাসনা, ডাকঘর- সাতমেড়া, উপজেলা ও জেলা- পঞ্চগড়। বিদ্যালয় কোড- ৮৬৫০, ইআইআইএন নম্বর- ১২৬০৭৬, এম.পি.ও কোড- ৭৯০৪১২১৩০২, পোষ্ট কোড- ৫০০০, থানা কোড- ৪০০১, জেলা কোড- ৪০ এবং কেন্দ্র কোড পঞ্চগড় ডি-৮৫৪।
ইতিহাস :
পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলাধীন ৬নং সাতমেড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শিতলী হাসনা গ্রাম। যাহা পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া হাইওয়ে রাস্তার পাশে দশ মাইল দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ ইং সালে মাত্র .২৫ শতক জমির উপর কার্যক্রম শুরু হয়। যার উপর একটি টিনসেট ঘর বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত হয়। ছাত্র/ছাত্রীর বসার জন্য বাঁশের তৈরী বেঞ্চ ব্যবহার করা হয়। বিদ্যালয়টি গত ০১/০১/১৯৯০ ইং সালে ১ম স্বীকৃতি লাভ করে। এবং ১৯৯৩ ইং সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় প্রথম অংশগ্রহণ করে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করায় এলাকার জনসাধারণ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্ম-কান্ডে এগিয়ে আসেন এবং অনেকেই বিদ্যালয়ের নামে স্বেচ্ছায় জমি দান করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ২ একর .৯৫ শতক। এর মধ্যে .৪০ শকতক জমি একাডেমিক ভবন, ১ একর .৯৫ শতক জমি সমতল খেলার মাঠ, .২৫ শতক জমি পুকুর, .২৫ শতক জমি বাগান, ০৩ শতক জমি শহীদ মিনার ও .০৭ শতক জমি মসজিদ ঘরের কাজে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যালয়টি ২০০০ ইং সালে সরকারি অর্থায়নে ০৩ রুম বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ২০১০ ইং সালে বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ০৪ রুম বিশিষ্ট একটি টিনসেট বিল্ডিং নির্মিত হয়। ২০১৫ ইং সালে সরকারি অর্থায়নে ০৫ রুম বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়। ২০১৬ ইং সালে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে ৫০০ আসন বিশিষ্ট একটি হলরুম নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১১ জন শিক্ষক, ০১ জন অফিস সহকারী ও ০৫ জন চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী কর্মরত আছেন। বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা- ৩২১ জন। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ছাড়াও আইসিটিডি ডিজিটাল ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম, বিজ্ঞানাগার, শিক্ষক মিলনায়তন, ছাত্রী কমন রুম, গ্রন্থাগার ও মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার আছে। শিক্ষক/কর্মচারী ও ছাত্র/ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য পৃথক টয়লেট এবং স্বাস্থ্য সম্মত হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থীদের সমতল খেলার মাঠ ও প্রর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী আছে। এছাড়াও ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষুদে ডাক্তার, স্কাউট, গার্লস গাইড, আইসিটি ক্লাব চালু আছে। পাঠ্যাভ্যাস চালু রাখার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের পাশাপাশি সরকার কর্তৃক ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী চালূ আছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বিদ্যালয়ের চার পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ আছে। সরকার কর্তৃক জাতীয় দিবসের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের নিজ উদ্যোগে বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং ও মাদক রোধে বিভিন্ন আলোচনা সেমিনার পালিত হয়। স্থাপনালগ্ন হতে বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা জোন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলা-ধুলায় অংশগহণ করে কৃতিত্ব অর্জন করেছে। বর্তমানে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সার্বিক পরিচালনায় বিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :
সুদক্ষ প্রতিষ্ঠান প্রধান, অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নিরলস প্রচেষ্টায় শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন, পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ, কৃত্বিবান শিক্ষার্থী তৈরী ও খেলা-ধুলার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা-ধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলতা অর্জন।